অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে 'বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বর্তমান সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ' বিষয়ক এক বিশেষ আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এবিবিসি) এর উদ্যোগে সিডনির পাঁচ-তারকা হোটেল হিলটন সিডনিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে ইভেন্টটিতে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
উপস্থিত বক্তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাব্য বিভিন্ন দিক, অর্থনৈতিক সুযোগ, নিয়ন্ত্রক কাঠামো, ডিজিটাল উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থায়িত্বের মতো বিষয়গুলির উপর তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসারের জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। বক্তব্যে তিনি দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
এম. আল্লামা সিদ্দিকী, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ফিজিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার, বাংলাদেশকে একটি ‘সোনার খনি’ এর সাথে তুলনা করেছেন যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সত্ত্বেও, একজন বিনিয়োগকারী অবশ্যই তাদের বিনিয়োগের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত লভ্যাংশ পাবেন বলে আশাব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন,’ বাংলাদেশ একটি আদর্শ বিনিয়োগ গন্তব্য যেখানে একটি তরুণ এবং শিক্ষিত জনসংখ্যা রয়েছে যারা প্রযুক্তিগত ব্যাপারেও দক্ষ এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো, বছরের পর বছর ধরে অপরিবর্তিত থাকায় তা অত্যন্ত বিনিয়োগকারী বান্ধব।‘
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন, অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ এশিয়া মেরিটাইম শাখার সহকারী সচিব ব্রুস সোয়ার এবং অস্ট্রেলিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, এনএসডব্লিউ-এর প্রেসিডেন্ট ইয়ান লিঙ্কন।
মূল বক্তব্যের পরে অনুষ্ঠানে বক্তাদের কাছে প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয় যেখানে অনুষ্ঠানের উপস্থিত স্রোতারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখেন। যা সদস্যদের মধ্যে শক্তিশালী সংলাপ এবং ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। অংশগ্রহণকারীরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বর্তমান ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় করেন ও প্রবৃদ্ধির মূল সুযোগগুলি চিহ্নিত করে এবং অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টিকারী চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে কিছু প্রস্তাব রাখা হয়।
ABBC-এর চেয়ারপার্সন ফয়েজ দেওয়ান বলেন, ‘ইভেন্ট চলাকালীন গভীর অন্তর্দৃষ্টি এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে আমরা ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হয়েছি। সংলাপ এবং সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, আমরা এমন বাস্তব ফলাফল অর্জনের লক্ষ্য রাখি যা বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া উভয়ের ব্যবসা এবং অর্থনীতিকে উপকৃত করবে।’
ইভেন্টটি একটি নেটওয়ার্কিং রিসেপশনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মূল্যবান সংযোগ স্থাপন, যোগাযোগ বিনিময় এবং সহযোগিতার সম্ভাব্য উপায়গুলি অন্বেষণ করার সুযোগ দেয়। ABBC সমস্ত স্পন্সর, অংশীদার, বক্তা এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রতি তাদের অমূল্য অবদান এবং ইভেন্টটিকে একটি দুর্দান্ত সাফল্যে সহায়তা করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
