মেট্রোরেল বৈদ্যুতিক তারে ফানুস, চলাচল বন্ধ

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ

ইংরেজি বর্ষবরণে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানেনি কেউ। সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরাবরের মতো এবারও নববর্ষ উদ্‌যাপনে মাতে ঢাকাবাসী। যার প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন সংযোজন মেট্রোরেলে।


শনিবার রাতে ঢাকায় উড়ানো অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর এসে পড়ায় দুর্ঘটনা রোধে মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ফানুস অপসারণের কাজ চলছে।


রোববার (১ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে এ তথ্য জানানো হয়।


ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক জানিয়েছেন, অন্যদিনের মতো আজও সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলার কথা ছিল। কিন্তু ফানুস অপসারণের কাজ চলায় ১০টা পর্য়ন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মেট্রোরেলের ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফানুস অপসারণ করা হচ্ছে।


তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের কবে বিবেক জাগ্রত হবে জানি না। ফানুস ওড়ানো বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও আমরা নিয়ম ভেঙে রাতে ফানুস ওড়ালাম এবং আতশবাজি ফাটালাম। ফানুসের ফলে মেট্রোরেলের বৈদ্যতিক তারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।'


গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বেলা ১টা ৫৩ মিনিটে তাদের নিয়ে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হয় মেট্রোরেল।


প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগি বিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। এ পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়নো হবে।


মেট্রোরেল প্রকল্প ২০১২ সালে একনেকে পাস হয়। মেট্রোরেলের মোট ব্যয় প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাকি ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরের মধ্যে।