বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রপতির গুলশানস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।
আলোচনার শুরুতে রবির প্রকাশনা 'গৌরবের বাংলাদেশ: শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা' গ্রন্থটি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আগ্রহ নিয়ে রবির সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। রবির ভিসি সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
রবি সমগ্র উত্তরবঙ্গসহ বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হবে বলে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রবির ভিসি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন প্রথম সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রপতি সানন্দে জানান যে, শপথ গ্রহণ শেষে তিনি অবশ্যই কবিগুরুর নামে প্রতিষ্ঠিত রবির সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন।
এ আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রবি ভিসি বলেন, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিকে অম্লান রাখার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। মহান স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর জাতীয় সংগীতের অমর স্রষ্টার নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে রবি শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করেছে। এরই ফলস্বরূপ, অবকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের ওয়েবমেট্রিক্স র্যাংকিংয়ে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রবি দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
রবির এ অর্জনের সংবাদে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে জানান, যেহেতু রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করছেন, এজন্য খুব দ্রুত সংকটের উত্তরণ ঘটিয়ে রবি বিশ্বজনীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিবে। সবশেষে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।