ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই’

‘অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই’

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার ইত্যাদি সংক্রান্ত সচেতনতা ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের মুক্ত ও নিরাপদ বিচরণ কিভাবে নিশ্চিত করতে পারবে এ সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়। ।

সোমবার ঢাকার বারিধারায় অ্যাস্কট দ্য রেসিডেন্স ভবনে ‘অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ : অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রটেকশন অব ডিজিটাল সিটিজেনশিপ অ্যান্ড রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালায় এই তথ্য উঠে আসে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে ‘ফস্টার রেসপনসিবল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্পটির অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণ্যমান্য আইনজীবী ও স্বনামধন্য মিডিয়ার প্রতিনিধিরা, যারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এবিষয়ে নানা কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরামর্শ উঠে আসে।

কর্মশালাতে এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা অ্যাডভোকেসি ব্রিফটি সকলের সামনে তুলে ধরেন ইন্ডিপেনডেন্ট কনসাল্টেন্ট মো: মোজাহিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে তিনি এই ব্রিফটিতে উল্লেখ করা বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে উপস্থিত সকলের সাথে সাথে একটি প্রাঞ্জল মতবিনিময় সেশন পরিচালনা করেন। বাংলাদেশের অনলাইন দুনিয়াকে তরুণ নাগরিকদের জন্য আরও সহায়তামূলক করে তোলার জন্য করণীয় বিভিন্ন পরামর্শ এই আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে।

ইন্ডিপেনডেন্ট কনসাল্টেন্ট মো: মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার তায়েফ হোসেন বলেন, “অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কথা বলছি তবে এর পাশাপাশি অফলাইনে জগতের সচেতনতাতেও নজর দিতে হবে। অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই। আমরা অফলাইন জগতকে এত বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি যে কোথাও খেতে বসলে খাবারের স্বাদ উপভোগ না করে তার ছবি তুলে আপলোড করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে সবকিছু সচেতনতা দিয়েও হয় না, আইনের শাসনও দরকার হয়।”

কর্মশালায় ডিনেট’এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তরুণ-তরুণীদের ডিজিটাল দুনিয়ায় অধিকার চর্চার সুযোগ করে দিতে ও দেশ গড়ার কাজে অনলাইন দুনিয়াকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জনের ব্যবস্থা করে দিতে সমাজের সকল স্তর থেকে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর সংশোধনী হলে তা মতামত প্রকাশে আরও সহজতর হবে। তবেই কেবল আমরা এই ডিজিটাল যুগে আমাদের দেশের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারব।

এই কর্মশালার আলোচিত অ্যাডভোকেসি ব্রিফটি প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/ থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

সভায় ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ নাজমুল হুসাইন, আইন ও সালিস কেন্দ্রের প্রোগ্রাম করডিনেটর ইসরাত জে সিদ্দিকী, সাইবার অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স থেকে কাজী মোস্তাফিজ, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার এর করডিনেটর সাইদ আহমেদ, বিভিন্ন গণ্যমান্য আইনজীবী ও স্বনামধন্য মিডিয়ার প্রতিনিধিরাসহ উল্লেখযোগ্য আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অফলাইন,অনলাইন,কর্মশালা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত