ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে পলিটেকনিকের ৭৭৭ শিক্ষক

বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে পলিটেকনিকের ৭৭৭ শিক্ষক

৩৪ মাসের বকেয়া বেতন ও চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন সরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষকরা। রোববার সকাল ১০ টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-সংকট নিরসনে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (স্টেপ) অধীনে নিয়োগ পেয়েছিলেন ৭৭৭ জন শিক্ষক। দুই ধাপে প্রকল্পটি ৩০ জুন ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল। তারপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ তারিখের পত্রের মাধ্যমে প্রকল্পের জনবল দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরিপত্র জারি হয়।

আন্দোলনকারীরা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল ধাপ সম্পন্ন করে নিয়োগপত্র পান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন শিক্ষক। যাদের সরকারি চাকরির বয়স এরইমধ্যে শেষ এবং পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তারা বলেন, প্রকল্প শেষে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২২ মে ২০১৯ সদয় অনুমতি প্রদান করেন এবং সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে বেতন ভাতাদিও প্রদান করা হয়। যা ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলমান ছিল কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ৩৪ মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ থাকায় বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমাদের জানা মতে, বর্তমানে ফাইলটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের অনেকে বেতন না হওয়ায় বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছেনা, সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারছেনা। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হয়, ততদিন আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

অবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক মারিয়া বলেন, আমাদের সকল নিয়ম মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো এবং আমরা আমাদের দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করেছি। কিন্তু রাজস্ব খাতের প্রক্রিয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা বলে গত ৩৪ মাস পর্যন্ত আমাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি টানা ২৪ ঘণ্টাই চলবে।

অবস্থানকালে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার সভাপতি মো. সুমন হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক সহ অন্য শিক্ষক নেতারা বক্তব্য দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (কারিগরি শাখা বাংলাদেশ) সংগঠনেরে আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে আত্তীকরণের দাবি করা হয়। দাবি পূরণ না হলে ৩০ এপ্রিল থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। সে অনুযায়ী রোববার থেকে অবস্থান শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বেতন,কর্মসূচি,শিক্ষক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত