একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকারে আইটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে টেক ম্যানিয়া ১.০ অনুষ্ঠিত।
শুক্রবার কলেজের শহীদ বরকত মিলনায়তনে তিতুমীর কলেজ আইটি সোসাইটির উদ্যোগে উক্ত অনুষ্ঠানটি সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫ টায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শামসুল আরেফিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য স্মার্ট বাংলাদেশের গুরুত্বারোপ করে বলেন, "তারুণ্যের শক্তি সবচেয়ে বেশি। স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট এসব বিষয়ে ভালোভাবে জেনে বুঝে প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে। আমরা যদি ট্যাক্স আদায় সঠিকভাবে করতে পারি পাশাপাশি দূর্নীতি থেকে মুক্ত থাকতে পারি তাহলে আমাদের ইকোনমি অত্যন্ত শক্তিশালী হবে। আর ইকোনমি যত বেশি শক্তিশালী হবে আমাদের সামগ্রিক উন্নয়ন তত বেশি করা যাবে। এর মধ্য দিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।" মূল বক্তা হিসাবে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি ডা: তানজিবা রহমান বলেন, বিভিন্ন জায়গায় চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে, এখন আপনাদের মূল কাজ হবে কমিউনিকেশন স্কিল, বিজনেস স্কিল এবং উন্নত প্রযুক্তিতে ভালোভাবে জ্ঞান রাখা। আমাদের কনফিডেন্সের জায়গায় শতভাগ নিশ্চিত থেকে একজন ভলো উদ্যেক্তা হতে হবে। সবাই শুধুমাত্র চাকুরির পিছনে না ছুটে নিজের মেধা খাটিয়ে নতুন কিছু করতে হবে।
অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মালেকা আক্তার বানু বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। উন্নত প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তিতুমীর কলেজের ছাএরা দেশ এবং দেশের বাইরে কৃতিত্বের সাথে সফলতা বয়ে আনছে। আশা করি আগামীতেও এই সাফল্যের ধার অব্যাহত থাকবে। তিতুমীর কলেজ আইটি সোসাইটির উপদেষ্টা মো: সালাউদ্দিন উক্ত অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করে আগামীতেও এমন অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন, ইউআইল্যাব এর সিইও মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, নিজের বলার মতো একটা গল্প'র প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার, লেখক ও সাংবাদিক রাহিতুল ইসলাম, এস আম বিল্লাল হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিক, রেজাউল করিম, জিয়া হাসান, ইমরাজিনা, মিনহাজুল আসিফ।
এসময় বক্তারা তিতুমীর কলেজ আইটি সোসাইটির আয়োজনের প্রশংসা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। উল্লেখ্য যে এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ওয়েব ডিজাইন প্রতিযোগিতায় প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। প্রতিযোগিতার ফলাফল শীঘ্রই জানানো হবে। নলেজ শেয়ারিং, টেক প্রতিযোগিতা ছাড়াও, এভেন্তে মূল আকর্ষণ ছিলো, বিশ্বে সর্বপ্রথম আয়োজিত ওপেন ইন্টারনেট ইক্সাম। পি আর পার্টনার হিসেবে ছিলো কিউরিয়াস মিডিয়া।