বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার টিমের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় র্যাবের কন্ট্রোল রুমে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আগমন ঘটে। এ বছরও দুই ধাপে তিন দিন করে মোট ৬ দিন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে।
এরমধ্যেই ইজতেমায় যোগ দিতে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন অনেক মুসল্লি। প্রথম পর্বে জোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা অংশ নেবেন। চার দিন বিরতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে। এ পর্বে অংশ নেবেন সাদপন্থি মুসল্লিরা।
তুরাগ নদের পাড়ে ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে ১৬০ একর জায়গায় বিশাল সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তৈরি করছেন পল্টুন ব্রিজ, যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে পারবেন। বিশাল ময়দানে জেলা অনুযায়ী খিত্তাভিত্তিক চলছে মাইক বাঁধা এবং বৈদ্যুতিক তার ও বাতি টাঙানোর কাজ। ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য থাকছে ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেন।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর থেকে তাবলিগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমার আয়োজন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রথম ধাপের ইজতেমা ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।