নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০’র সমন্বয়ে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন যাত্রাবাড়ী মৎস্য আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নগদ আঠারো লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ভোর ৪টা হতে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।
এসময় জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এর জেলা মৎস কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত যাত্রাবাড়ী থানাধীন যাত্রাবাড়ী মৎস্য আড়তে জাটকা ইলিশ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষন ও বিক্রয় করার অপরাধে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৮ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ঋত্বিক ফিসকে নগদ ৩ লাখ টাকা, রাজলক্ষী মৎস আড়তকে নগদ ৩ লাখ টাকা, সর্দার এন্ড কোংকে নগদ ৪ লাখ টাকা, দয়াল মৎস আড়তকে নগদ ২ লাখ টাকা, বিসমিল্লাহ ফিসকে নগদ ২ লাখ টাকা, রুদ্র এন্টারপ্রাইজকে নগদ ২ লাখ টাকা এবং বুড়িগঙ্গা মৎস্য আড়তকে নগদ ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত আনুমানিক ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫৬৬ কেজি জাটকা ইলিশ ও ৫৩৭ কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দকৃত জাটকা ইলিশ বিনামূল্যে এতিম খানায় দান করা হয়েছে এবং জেলিযুক্ত চিংড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা জাটকা ইলিশ ও জেলিযুক্ত চিংড়ি সংরক্ষন এবং বিক্রয় করে আসছিল।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।