ঈদের দ্বিতীয় দিনও প্রিয়জনের কাছে যেতে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। এবারের ঈদের ছুটিতে যারা বাড়ি যেতে পারেননি, তারা আজ ভিড় জমাচ্ছেন বাস টার্মিনালগুলোতে। তবে সেটি ঈদের আগের অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীতে দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগে এবং চাঁদরাতেও এত ভিড় দেখা যায়নি। ভোরে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বেড়েছে পরিবহন ভাড়াও। ঈদের আগের দিন যেসব গাড়ির ভাড়া তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা ছিল এখন সেটি বেড়ে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা। গাড়ির হেলপাররা দরজার মুখে দাঁড়িয়ে বলছেন, যে যেখানেই নামেন ভাড়া ৫০০ টাকা।
যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ ও ধোলাইপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ এক থেকে দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়িতে উঠতে পারছেন না। ছোট ছেলে-মেয়ে এবং জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরে যাওয়া মুশকিল।
সায়েদাবাদ জনপথের মোড়ে খুলনাগামী ইমাদ পরিবহনের কাউন্টারে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ২০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। চাঁদরাত পর্যন্ত সবাই চলে গেছেন। ঈদের পরদিনও যাত্রীর চাপ। মনে হচ্ছে ঈদের আগের চেয়ে পরই বেশি মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন।
একই পরিবহনে খুলনাগামী এক চাকরিজীবী বলেন, ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারিনি। এখন কাউন্টার থেকে বলছে অপেক্ষা করতে হবে। প্রচণ্ড গরমে কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় কে জানে, ভাড়া দুই থেকে তিনশ টাকা বেশি চাচ্ছে।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সালমান ও রিয়াজ বলেন, ভোর থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২২ থেকে ২৩টি গাড়ি ছেড়ে গেছে। যাত্রীর চাপ বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ফিরতি গাড়ির তিন শতাধিক অগ্রিম টিকিট বিক্রি রয়েছে। গাড়ি কম যাত্রী বেশি।
তিনি বলেন, আমরা শুধু টিকিট বিক্রি করি। গাড়ির হিসাবটা সঠিকভাবে জানি না। তবে যাত্রীর ব্যাপক চাপ রয়েছে। এখন ফিরতি গাড়ি এলে তারপর যাত্রী নিয়ে যাবে, আমাদের সবকয়টি গাড়ি ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে, তাই এখন গাড়ি ছাড়তে বিলম্ব হতে পারে।