সদরঘাটে হতাহতের ঘটনায় মামলা, নিহত ৫ যাত্রীর মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে তিন লঞ্চের সংঘর্ষে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে নিহত যাত্রীদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সদরঘাট নৌ থানা সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় গতকাল আটক ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, তাসরিফ -৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো.মিজানুর রহমান (৪৮), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৭), এম ভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আবদুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭০)।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গতকালের দুর্ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ ও তাসরিফ-৪ লঞ্চের বিরুদ্ধে অবহেলা জনিত অভিযোগ এনে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ মামলায় ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হলেও মামলার তদন্ত সদরঘাট নৌ পুলিশ করবে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে নিহতদের মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট ১১ নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ ৪ নামে একটি লঞ্চ ও এমভি পূবালী ১ নামে আরও একটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামে আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।