রাজধানীতে অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে নেমেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কয়েকদিন ধরে চলা অভিযানে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করা ৩৬৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব গাড়িতে অবৈধভাবে পুলিশ, মন্ত্রণালয় ও সাংবাদিকের স্টিকার লাগানো ছিল। এসব স্টিকার ব্যবহার করে নানা জায়গায় যাওয়ার সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এছাড়া ফিটনেস না থাকায় তিন হাজারেরও বেশি গাড়ির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকার মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
অভিযানের পর দুই হাজার গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় ঢাকার ট্রাফিকের আট বিভাগে।
রোববার (৫ মে) সকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আমরা মূলত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। ঢাকার আটটি ট্রাফিক বিভাগ একযোগে অভিযান পরিচালনা করছে। যারা এসব অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে স্টিকার ব্যবহার করছেন তাদের অনুরোধ করব এসব থেকে বিরত থাকতে। পুলিশ, বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় ও সাংবাদিকের আত্মীয়রা এসব পরিচয়ে তাদের গাড়িতে অবৈধভাবে স্টিকারগুলো ব্যবহার করছে।
ডিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, গত কয়েকদিনে ৩৬৩টি যানবাহনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র এসব অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহারের কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করছে। যদিও এটা আমাদের প্রতিদিনের কাজের অংশ। বিশেষ অভিযানে এগুলোকেও আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক ফিটনেটবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের অভিযানে দুই হাজারের বেশি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান বলেন, আমরা আসলে যেসব স্টিকার গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো অনুমোদিত কি না তা যাচাই বাছাই করছি। কিন্তু এর আগে ডিটেকটিভ শাখা ও বিভিন্ন সংস্থার নামে বানানো স্টিকার ব্যবহার করে চালিয়ে আসতো। এমন নজিরও আমরা সেই সময় পেয়েছি। সে কারণে আমরা অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহারের বিপক্ষে আমাদের আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে ওইসব গাড়িতে অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে যারা সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয়ে তার গাড়িতে স্টিকার ব্যবহার করছেন তা অবৈধ।