ডাকসুর সাবেক ভিপি প্রার্থী (২০১৯) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমানকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ডিবির কয়েকজন সাদা পোশাকধারী এসে মুস্তাফিজুরকে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান ছাত্রদল নেতা মো. রানা হামিদ।
তিনি আরও জানান, ঢাকা মেট্রো-চ (গাড়ি নং: ৫১-৬২৫০) গাড়িতে করে ডিবির পরিচয়ে কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে রাত ১০ টার দিকে তুলে নিয়ে গেছে। এসময় তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এদিকে মুস্তাফিজুর রহমানকে ডিবির সদস্যরা তুলে নেয়ায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অনতিবিলম্বে মোস্তাফিজুর রহমানকে গণমাধ্যমের সম্মুখে হাজির করা আহবান জানিয়েছেন। অন্যথায় উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার পেটোয়া বাহিনীকেই নিতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানকে কল্যাণপুর থেকে আজ রাতে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। ইতোমধ্যেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে এখন পর্যন্ত পরিবার ও সংগঠন তাঁর খোঁজ পায়নি। এই ডামি সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতিউৎসাহী সদস্য সারা বাংলাদেশে অসংখ্য ছাত্রদল নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। চাকুরিবিধির বদলে দলবাজির পথ বেছে নেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যদের এ ধরণের বেআইনি অপকর্মের মাধ্যমে অবৈধ সরকার তার ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী করতে চাইছে। ছাত্রজনতার ঐক্য ও জাগরণে আতঙ্কিত হয়ে তারা আবারও দেশজুড়ে গণগ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে। গুমের শিকার ছাত্রনেতাদের পরিবারগুলো বছরের পর বছর ধরে স্বজনের প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে আছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এ ধরণের নির্মমতা, পৈশাচিকতার লোমহর্ষক ঘটনাগুলো ক্রমাগতভাবে উঠে আসছে যা দেশের ভাবমূর্তিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে।