রাজধানীর মোহাম্মদপুর রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত সাদিক এগ্রোর স্থাপনা উচ্ছেদ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে এই অভিযান পরিচালনা করার কথা রয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৬ জুন) নগর ভবনের এ সংক্রান্ত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।
সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।
চিঠিতে জানানো হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুরস্থ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের ভূমিতে সাদিক এগ্রো লিমিটেড কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা/দখল উচ্ছেদ করা হবে। অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাকাব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
এর আগে এক কোটি টাকা মূল্যের গরু ও ১৫ লাখ টাকায় ছাগল বিক্রি করে সমালোচিত হয় সাদিক এগ্রো। দেশের সবচেয়ে বড় এই এগ্রো ফার্মের মালিক মো. ইমরান হোসেন ব্যক্তি ক্ষমতা বলে সরকারি জায়গা দখল করেছেন। তিনি নগরীর মোহাম্মদপুরের সাত সমজিদ হাউজিং ১ নম্বর সড়কে খালের জায়গা, নবীনগর হাউজিং ৭ নম্বর রোডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা এবং নবীনগর ১৬ নম্বর সড়কে খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়েছেন। খালের ওই অংশে অবৈধ দখলদার সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়টি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরানের সখ্যতা রয়েছে। তাই তাকে কখনও কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।