বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ৪০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩৯৭ জনকে উদ্ধার করে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৪০ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে অন্তত ২৩ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিহতরা হলেন– ১. রাসেল (২৫), কাজলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি পেশায় বাসের হেলপার ছিলেন। ২.অজ্ঞাত যুবক (২৭), কাজলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ৩.ইমরান (২৫) যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকার অনাবিল হাসপাতালের সামনে গুলিবৃদ্ধ হয়ে নিহত হন। পেশায় তিনি ওয়ার্কসপ কর্মী। ৪.আব্দুর রহমান (২২)কাজলা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সরকারি তুলারাম কলেজের শিক্ষার্থী। ৫.মানিক মিয়া (৩০) ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি যমুনা ব্যাংকের চাকরিজীবী। ৬.রাকিব হোসেন (২৪) ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ৭.আজমত আলী (৩৫)। যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তের সামনে থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ৮. আবু ইসহাক (৫২) যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। তিনি সৌদি প্রবাসী ছিলেন বলে জানা গেছে। ৯. সাইফুল ইসলাম ওমর (২৩) যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। তিনি মাদ্রাসা ছাত্র। ১০. শাকিল (২১) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। শিক্ষার্থী ১১. অজ্ঞাত যুবক (২৮) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ১২. শাহীন (২৪) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ১৩. ইয়াসিন (২৪) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ১৪. সোহেল (২২) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ১৫. অজ্ঞাত যুবক (২৪) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ১৬. অজ্ঞাত ব্যক্তি (৪০) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ১৭. আব্দুল নুর (৩৫) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। পেশায় তিনি সাংবাদিক। ১৮. অজ্ঞাত যুবক (২৫) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ১৯. অজ্ঞাত যুবক (৩০) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ২০. অজ্ঞাত যুবক (২২) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ২১. ইসমাইল রাব্বি (২২) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। পলিটেকনিক্যাল এর শিক্ষার্থী। ২২. রনি(১৭) বংশের এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। শিক্ষার্থী ২৩. অজ্ঞাত যুবক (২০) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ২৪. অজ্ঞাত ব্যক্তি (৪০) যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ২৫. হামিদুর রহমান (২২) বংশাল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। শিক্ষার্থী। ২৬. অজ্ঞাত (২০) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ২৭. অজ্ঞাত (৩৫) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ২৮. অজ্ঞাত (২২) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ২৯. অজ্ঞাত (২৮) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩০. অজ্ঞাত (৩২) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩১. অজ্ঞাত (৩০) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩২. অজ্ঞাত (২০) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩৩ অজ্ঞাত (২৬) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩৪. শাওন (১৫) ধোলাই পারে নিহত। ৩৫. আবু রায়হান (২১) ধোলাই পারে নিহত। ৩৬. অজ্ঞাত (৩০) ধোলাইপাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩৭. অজ্ঞাত (২৫) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩৮. আব্দুল হান্নান (৫০) ধোলাইপাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৩৯. অজ্ঞাত (২৪) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। ৪০. মনোয়ার (৫৫) যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
নিহতদের তালিকার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, বংশাল, কাজলা, ধনিয়াসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩৯৭ জনসহ আহত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরমধ্যে ৭১ জন কে ভর্তি দেয়া হয়েছে। এবং জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ৪০ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। আহত অবস্থায় এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এখনও অনেককে আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।