রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পাল্টাপাল্টি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজধানী। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত পল্টন, জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্থান এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কোনো অবস্থান দেখা যায়নি। উল্টো সমাবেশ প্রতিহত করার জন্য কিছু সময় পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এখানে আসছেন। তারা মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানে জানান দিচ্ছেন নিজেদের অবস্থান।
জিরো পয়েন্ট চত্বরে দেখা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টা থেকে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় তারা আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই; একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর; দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত; উই ওয়ান্ট উই ওয়ান্ট, জাস্টিস জাস্টিস; সহ নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পল্টন মোড় থেকে শুরু করে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে সকাল থেকেই গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের সড়কে। বিগত দিনগুলোর মতোই রয়েছে যানজটও। মানুষের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। তবে পুরো এলাকাজুড়ে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি জলকামান এবং এপিসি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামতে পারেনি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতাকর্মীরা। গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়তে হয় দলটির নেতাকর্মীদের। এর মধ্যে আবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ অবস্থার মধ্যেই নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওই পোস্টে বলা হয়, আগামী ১০ নভেম্বর রোববার বিকেল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
মিছিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।
তবে ওই একইস্থানে পাল্টা গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।