ট্যানারি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড

ভবনে ছিল না সেফটি প্ল্যান, নোটিশ দেয়া হয়েছিল কয়েকবার : ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে আগুন লাগা ভবনটিতে ছিল না কোনো সেফটি প্ল্যান। এছাড়া বেশ কয়েকবার নোটিশও দেয়া হয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে। রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে একটি ট্যানারি গোডাউনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এটি একটি পুরাতন ভবন। ভবনটিতে মিশ্র পদার্থ ছিল, কাঁচামাল, প্লাস্টিক, গার্মেন্টস পণ্য এবং উপরে ছিল জুতার কারখানা। জুতার কারখানায় বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ রয়েছে। আমরা ভয় পাচ্ছিলাম এখানে ঘিঞ্জি এলাকা, আগুন বিস্তার লাভ করলে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো। সেটি আমরা রোধ করতে পেরেছি, এটি আমাদের বড় সফলতা।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মতোই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ ঘণ্টা। আমাদের সক্ষমতার পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। কারণ পানির সংকট, ভেতরের দাহ্য বস্তু, উৎসুক জনতার ভিড় ও চাপা (সরু) রাস্তা।

ভবনটিতে ছিল প্লাস্টিক, লেদারসহ দাহ্য বস্তুর কারখানা। ছিল না কোনো অগ্নিনিবারক যন্ত্র। ভবনে ফায়ার সেফটির কোনো প্ল্যান ছিল না। কয়েকবার নোটিশও দেয়া হয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে।

আগুন ভবনটির ৫, ৬ ও ৭ তলা পর্যন্ত ছড়িয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, নিচের দিকে আগুন ছিল না। আগুনের সূত্রপাত এখনো বের করা যায়নি। তবে ইলেকট্রনিক শর্ট সার্কিট কিংবা সিগারেটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে তদন্তের পর মূল কারণ জানা যাবে।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, সরকারের আইনে ফায়ার সেফটি অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু এই ভবনটিতে দাহ্য পদার্থ থাকার পরেও কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। আগুন ছড়িয়ে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারতো।