ওয়াসার ২৬ খালের দায়িত্ব পেল দুই সিটি করপোরেশন

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজধানীর ২৬টি খালের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ১৫টি এবং ঢাকা দক্ষিণ (ডিএসসিসি) ১১টি খালের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ওয়াসা, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৮৮ সালের আগে ঢাকার খালগুলো তদারকি করতো তৎকালীন ঢাকা মিউনিসিপাল করপোরেশন। কিন্তু কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই খালগুলো ওয়াসার কাছে গেল তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তাই এতদিন খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণে অনেকটা সমন্বয়হীনতা ছিল।

মন্ত্রী বলেন, এখন ঢাকার ২৬টি খাল ওয়াসার কাছ থেকে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওই দুটি সংস্থা করবে। এতে নগরে আর জলাবদ্ধতা হবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, সিটি করপোরেশন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আর একাজে ঢাকার খালগুলো বেশি কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। নানা সমস্যায় খালগুলো সেভাবে কার্যকর হয়নি। তাই আমরা চাই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খালগুলো আবারও সচল হয়ে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রাখবে। এজন্য খাল পরিষ্কার ও ব্যবস্থাপনা কাজে ওয়াসার কাছে থাকা জনবল এবং যন্ত্রপাতি সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হবে।

ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজ ঢাকাবাসীর জন্য ঐতিহাসিক দিন। আশা করি আসন্ন বর্ষায় ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে ওই কার্যক্রম সফল করা হবে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জিরানি খাল, শ্যামপুর খাল, মান্ডা খাল থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ওই তিনটি খাল এবং দুটি বক্স কালভার্ট থেকে আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু করা হবে। আগামী মার্চের মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। পরে জুনের মধ্যে ডিএসসিসির কালুনগর খালসহ বাকি খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করা হবে।

তাপস বলেন, ডিএসসিসির খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করার পর খাল পাড়ের সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যে ৯শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। প্রস্তাবটি পাস হলে নাগরিকেরা তার সুবিধা পাবেন।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির অধীনে থাকা সবগুলো খাল তারাও পরিষ্কার করেছে। এছাড়া এসব খালের সৌন্দর্য বাড়াতে ডিএনসিসিও প্রকল্প নিয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।