ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয় থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। ৫০টি বাস নিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে চালু করা হয়েছে বাস রুট রেশনালাইজেশনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। জানা গেছে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিমি দৈর্ঘ্যের সড়কে চলাচল করবে এই পরিবহন।
জানা গেছে, গণপরিবহনের লোকাল বাসের ভোগান্তি কমাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, ‘ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে পুরোনো কোনো বাস চলবে না। এখন এই রুটে যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে ২০১৯-এর ১ জানুয়ারির পর কেনা বাস থাকবে। বাকি বাসগুলো উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর সংগে নতুন বাস যোগ হবে। সব মিলিয়ে এই রুটে ৫০টি বাস চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘এই রুটে চলাচলকারী পরিবহণের ড্রাইভার ও হেলপারের একটি নির্দিষ্ট পোশাক থাকবে।’
ঢাকার গণপরিবহনের মালিক দুই হাজারের বেশি। ঢাকা ও আশপাশে দুই শতাধিক পথে (রুট) বাস চলাচল করে। যাত্রী তোলার জন্য এক বাসের চালক অন্য বাসের সংগে পাল্লায় লিপ্ত হন। এতে দুর্ঘটনা বাড়ে। এই ব্যবস্থা পরিবর্তনে ২০০৪-এ ঢাকার জন্য করা ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনায় ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ বা বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে লক্কড়ঝক্কড় বাস তুলে নেওয়া। সহজ শর্তের ঋণে নতুন বাস নামানো। বাস চলবে পাঁচ-ছয়টি কোম্পানির অধীন। মালিকেরা বিনিয়োগের হার অনুসারে লভ্যাংশ পাবেন।