ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে থার্টিফার্স্ট নাইটের পিকনিক থেকে ফিরে স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

ঈশ্বরদীতে থার্টিফার্স্ট নাইটের পিকনিক থেকে ফিরে স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

পাবনার ঈশ্বরদীতে সাঁড়া থানা পাড়ায় থার্টিফার্স্ট নাইটের পিকনিক থেকে ফিরে রোহান হোসেন (১৫ ) নামে এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া দুইটার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।

রোহান উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া থানাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান মিন্নু মিয়ার ছেলে। সে সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। স্থানীয়রা জানান, রোহান শনিবার রাতে বাড়ির পাশের থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে অংশ নেয় । একপর্যায়ে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে রাত ১২টা ২০ মিনিটে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এর কিছুক্ষণ পর রোহান বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

রোহানের ভগ্নিপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ধারণা, রোহানকে যারা রাতে বনভোজনের জন্য ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তারা তাকে বিষাক্ত কিছু খাইয়েছিল। রোহান রাত ১২টা ২০ মিনিটে যখন বাড়িতে আসে তখন সে বমি করছিল। তাকে হাসপাতালে গিয়ে গেলে মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, রোহানের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। তাৎক্ষণিক তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, আমি নিজে দেখেছি রোহানের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। কোনো কিছুর আঘাতে মারা গেলে অবশ্যই শরীরে চিহ্ন থাকতো। বিষয়টি নিশ্চিত হতে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারাও জানিয়েছে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। কীভাবে তার মৃত্যু হলো বুঝতে পারছি না।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, রোহানের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

থার্টিফার্স্ট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত