মামা ও বাবার কাছ থেকে প্রায় ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে দীর্ঘ ২ বছর ধরে সেচ্ছায় চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকার পাশাপাশি দ্বিতীয় বিয়েও করেছিল পলাতক যুবক রুবেল মিয়া (২৮)। শনিবার ১ জানুয়ারী চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন “ডে-শপিং কমপ্লেক্স” নামক মার্কেটের সামনে থেকে পলাতক রুবেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি টিম।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন হাবিবপুর এলাকার দুলাল মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়া সোনারগাঁ থানাধীন মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় থাকা ৪র্থ তলা বিশিষ্ট “মামুন প্লাজা” নামক মার্কেটে চাকুরী করাকালীন সময়ে তার মামা শফিক মিয়ার পক্ষে উক্ত মার্কেটের সকল দোকানের ভাড়া উত্তোলনের ১১ লাখ টাকা এবং তাহার পিতার কাছ থেকে ৯ লাখ ৮২ হাজার টাকাসহ সর্ব সাকুল্যে ২০ লাখ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর সে স্ত্রী তানজিলা আক্তার এবং তাহার ঔরষজাত ২ বছর বয়সী সন্তান সাফওয়ানকে রেখে এলাকা থেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করে চলে যায়। এর পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করার তাগিদের প্রেক্ষিতে ও পলাতক রুবেলকে উদ্ধারের লক্ষ্যে বাবা দুলাল মিয়া ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সোনারগাঁ থানায় জিডি দায়ের করেন। এছাড়াও ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারী র্যাব-১১ এর অধিনায়ক বরাবরেও আবেদন করেন দুলাল মিয়া। ২০২২ সালের ২২ মার্চ পুত্র রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে তাহার বাবা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা (নং-১১৬/২০২২) দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তাহার ছেলে উদ্ধার না হওয়ায় উক্ত দুলাল মিয়া ২০২২ সালের ১৬ আগষ্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন। এরপর পিবিআই পুলিশ সুপারের নির্দেশে পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুল বাতেন মিয়া একাধিক মোবাইল ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ রুবেল মিয়ার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হন। এরপর পিবিআই পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় সঙ্গীয় এসআই (নিরস্ত্র) মাজহারুল ইসলাম, এসআই (নিরস্ত্র) শাকিল আহম্মেদ এবং সঙ্গীয় কনস্টবেলসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিয়া চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন “ডে-শপিং কমপ্লেক্স” নামক মার্কেটের সামনে থেকে রুবেল মিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে খোঁজ নিয়ে পিবিআই এর কর্মকর্তারা জানতে পারেন পলাতক রুবেল মিয়া ২০২২ সালের ১ জুন ভোলা সদর থানাধীন চর ভেদুরিয়া (হাবিবুল্লাহ হাওলাদারের বাড়ী) এলাকার মোশারফ হোসেনের মেয়ে অঞ্জনাকে (২৪) বিয়ে করেছে।