কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। হিমেল কনকনেঠান্ডা হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। এতে করে চরম দুর্ভোগে পরেছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। বিকেল থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দেখা যায়না সূর্যের মুখ। ভোরে ও সন্ধ্যায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পরছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচলও। রাস্তাঘাটে লোক চলাচলও কমে গেছে। ভীড় বাড়ছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে।
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পরেছে শিশু,বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে হত-দরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহীনুর রহমান সরদার জানান, শীতের কারণে হাসপাতালের ইনডোরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ওয়ারলেস অপারেটর ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, বুধবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে দুটি মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে বলে তিনি জানান।
