ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে বইছে হিমেল হাওয়া, তাপমাত্রা নেমে আসায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা

ঈশ্বরদীতে বইছে হিমেল হাওয়া, তাপমাত্রা নেমে আসায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা

উত্তর দিক থেকে বাতাস অব্যাহত থাকায় পাবনার ঈশ্বরদীতে শীত জেঁকে বসেছে। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার এখানে সূর্যের মুখ দেখা মিলেনি। সারাদিন হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। বুধবার দিনের সবোচ্চ তাপমাত্রা এক দিন আগের সোমবার থেকে হুট করে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার কারণে ঈশ্বরদীবাসী টের পাচ্ছে শীতের প্রকটতা।

রাতের তুলনায় হঠাৎ করেই দিনের তাপমাত্রা কমেছে। পড়ছে প্রচুর কুয়াশা এবং সূর্যের দেখা না পাওয়া। এসব কারণে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান বেশ কমে গেছে। এতেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার ( ২ জানুয়ারি) ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এক দিনের ব্যবধানে আজ বুধবার ( ৪ জানুয়ারি) ১০ ডিগ্রি কমে নেমেছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫, যা সোমবার( ২ জানুয়ারি) ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সোমবার সবোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং আজকে বুধবারের সবোচ্চ তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। হিসাব করলে বোঝা যায় যে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে অনেক খানি। ফলে শীতের তীব্রতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া ইসলাম পাড়া গ্রামের দিনমজুর শিপন আলী বলেন, শহরের রেলগেটে কাজের খোঁজে সকালে এসেছি। শহরে লোকজন কম। কাজ জোটেনি।

ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলার অধিকাংশ সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে ভোরে কাজের সন্ধানে যাদের বের হতে হচ্ছে, তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

শহরের বস্তিগুলোর সামনে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

ঈশ্বরদী,হিমেল হাওয়া,শীতের তীব্রতা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত