ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টৈটং-সোনাইছড়ি খালে মাটির ক্রসবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ

টৈটং-সোনাইছড়ি খালে মাটির ক্রসবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ

কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ উদ্বোধন করেছেন পেকুয়ার টৈটং-সোনাইছড়ি খালের ওপর মাটি ফেলে অস্থায়ী ক্রস বাঁধ নির্মাণের কাজ। মোনাজাতের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়ে মাটি কেটে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন- কাজ শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে পেকুয়া উপজেলার টৈটং, বারবাকিয়া, শীলখালী এবং পাশ্ববর্তী চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের আংশিক এলাকাসহ চার ইউনিয়নের অন্তত চার হাজার হেক্টর জমিতে রবিশস্যের চাষাবাদ নির্বিঘ্নে করা যাবে।

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর কর্তৃক হাতে নেওয়া এই প্রকল্প উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথি এমপি জাফর আলম ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু তাহের, টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, বারবাকিয়ার চেয়ারম্যান বদিউল আলম জিহাদী, এমপির ব্যক্তিগত সহকারি আমিন চৌধুরীসহ তিন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি প্রমূখ।

টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান- চার ইউনিয়নের কৃষকের দুর্দশা দূর করতে টৈটং-সোনাইছড়ি খালের ওপর দীর্ঘমেয়াদী (স্থায়ী) রাবার ড্যাম নির্মাণের কথা ছিল। সেই কাজও অনেকটা এগিয়েছে। কিন্তু চলতি শুষ্ক মৌসুমেও রাবার ড্যামটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিকল্প পন্থায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের মাধ্যমে এমপি জাফর আলম উদ্যোগ নেন অস্থায়ী ক্রস বাঁধ নির্মাণের।’

চেয়ারম্যান বলেন, খালের একপ্রান্তে খালের ওপর ৫০ মিটার দীর্ঘ অস্থায়ী মাটির ক্রস বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার খবরে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কয়েকদিনের মধ্যে মাটির বাঁধটির নির্মাণকাজ শেষ হলেই মিঠাপানি আটকিয়ে চার ইউনিয়নের পায় চার হাজার হেক্টর জমিতে রবিশস্যের চাষাবাদ নির্বিঘ্নে করা যাবে।

এই বিষয়ে এমপি জাফর আলম বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে মিঠাপানির অভাবে যুগ যুগ ধরে এখানকার কৃষক চাষাবাদ করতে না পারায় বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী মাটির বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘস্থায়ীভাবে খালের ওপর মিনি রাবার ড্যাম নির্মাণ করবে। যাতে ভবিষ্যতে শুস্ক মৌসুমে মিঠাপানি নিয়ে কৃষককে দুশ্চিন্তা করতে না হয়।’ এমপি আরও বলেন, অধিক চাষাবাদ ও ফলনের লক্ষ্যে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিকল্প হিসেবে চাষাবাদের সুবিধার্থে খালে অস্থায়ী মাটির ক্রস বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

কক্সবাজার,টৈটং-সোনাইছড়ি খাল,ক্রসবাঁধ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত