সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুতথ্য প্রতিরোধে পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজকে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে যশোর এলাকায় তিন দিনব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে শহরের বাঁচতে শেখা সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণের প্রথম দিনের আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড শান্তনু মজুমদার বলেছেন, ‘কুতথ্য, গুজব, কূটতথ্য ছড়ানোর মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করা হয়। এতে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নির্বাচনে নিয়মিতভাবে সব পক্ষই কুতথ্য ও গুজব ছড়ায়। আগামী নির্বাচনেও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর গুজব ছড়ানোর শঙ্কা আছে। এ বিষয়ে দেশের পেশাজীবী সমাজ ও তরুণদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ড শান্তনু মজুমদার আরও বলেন, ‘কুতথ্য, গুজব, কূটতথ্য সমাজকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়। গুজবের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। কখনও কখনও গণমাধ্যমের ওপর ভর করেও কুতথ্য ছড়ানো হয়। এ বিষয়ে সব সাংবাদিকরও সতর্ক থাকা জরুরি।’
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্টের (আইইডি) আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে স্থানীয় নাগরিক সমাজ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতাসহ নানা শ্রেণিপেশার ৩০ জন অংশগ্রহণ করছেন।
উদ্বোধনী আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড শান্তনু মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক মোবারক হোসেন, জেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন, জেলা সহকারী তথ্য কর্মকর্তা এলিন সাইদ উর রহমান, যশোর পৌর কাউন্সিলর শেখ রোকেয়া বেগম ডলি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি দীপংকর দাস রতন, মহিলা পরিষদ নেত্রী কামরুন নাহার কনা, যশোর উপশহর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, প্রবীণ সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌল্লাহ, যশোর জিলা স্কুলের শিক্ষক জামাল উদ্দিন, যশোর প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, এডাবের সহ-সভাপতি শাজাহান নান্নু, তথ্য প্রযুক্তি গবেষক সিয়াম সারোয়ার জামিল, যশোর কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বীথিকা সরকার, উন্নয়ন কর্মকর্তা কিশোর কুমার কাজল, কর্মসূচি সংগঠক মানিক সরকার প্রমুখ।
আলোচনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবারক হোসেন বলেন, ‘কুতথ্য ছড়ানো থেকে রেহাই পেতে ব্যক্তিসচেতনতা বেশি দরকার। সচেতন থাকলে কুতথ্যের মতো সামাজিক বিপর্যয় মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’