নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ১১ জানুয়ারি
অনিশ্চিতায় টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার
এখনও অনিশ্চিত রয়েছে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল। বিষয়টি নিয়ে আগামি ১১ জানুয়ারি নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক রয়েছে এবং সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরেই এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, প্রতি বছর অক্টোবর থেকে টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল শুরু হয়। কিন্তু এবার তার কোন অনুমতি মিলেনি। ফলে সেন্টমার্টিনে পর্যটক বিহীন অবস্থা রয়েছে।
তিনি জানান, দ্বীপের বেশিভাগ মানুষ এখন পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। এখানে যারা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করেছেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন মালিক পক্ষ থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে হোটেল ও রিসোর্ট ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন। এসব ব্যবসায়ী পর্যটন মৌসুমে ভালো ব্যবসা করতে না পারলে সবাইকে লোকসান পোহাতে হবে।
সেন্টমার্টিনের হোটেল ব্যবসায়ী আলী হায়দার ও মাসুম তালুকদার বলেন, টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ না করায় সেন্টমার্টিনের পর্যটন খাতে খড়া পড়তে শুরু করেছে। এইভাবে থাকলে ব্যবসা গুটি ফেলবে অনেকে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম নৌ রুট দিয়ে যে সব পর্যটক আসছে, তা অপ্রতূল। ত ছাড়া এ দুটি জাহাজে হয়রানি ও ভোগান্তির কারণে সেন্টমার্টিনে আসা কমিয়ে দিতে পারে পর্যটকরা বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শীতের এই ভরা মৌসুমে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাত ও নাফ নদীর নাব্য সংকটের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী, বে-ওয়ান ও বারো আউলিয়া নামে তিনটি জাহাজ সরাসরি সেন্টমার্টিনে চলাচল করছে। যা কক্সবাজার থেকে সকাল ৭টায় জাহাজ ছাড়লে সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে লাগে সাত থেকে আট ঘণ্টা। আবার সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে সময় লাগে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা। এতে যাত্রীদের হয়রানি ও ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলের জন্য টেকনাফের ঘাটে অবস্থান করছেন এম ভি পারিজাত ও এম ভি রাজহংস নামের ২ টি জাহাজ।
জাহাজের মালিক পক্ষের প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে জাহাজ ঘাটে রাখা হয়েছে। এখন অনুমতি পেলে যাতায়ত শুরু করা হবে। বিষয়টি নিয়ে ১১ জানুয়ারির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত ও নদীর নাব্য সংকটের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেলে জাহাজ চলাচলে বাধা থাকবে না। আগামী ১১ জানুয়ারি এ নিয়ে আবারও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হতে পারে।