মানিকগঞ্জে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ওয়ারিশান সনদ না পেয়ে অবশেষে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী সংখ্যালঘু এক পরিবার। ওয়ারিশান সার্টিফিকেট না থাকায় জমিজমার ভাগ-বাটরা আটকে আছে। প্রতিবন্ধী ভাইকে চিকিৎসা করাতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে ভূক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নে রাজরা গ্রামের মৃত মতিলাল দাসের চার ছেলে এক বছর ঘুরেও স্থানীয় ৫নং ইউপি সদস্য ফরিদ ও চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের কাছে ওয়ারিশান সনদ পাননি।
ভূক্তভোগী পরিবারের বড় ছেলে মন্টু দাস বলেন, এক বছর যাবৎ মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে ঘুরে ঘুরে নাজেহাল হচ্ছি। আমার মেজভাই ঝন্টু দাস প্রতিবন্দী। তার পেটে পাথর হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন দ্রুত অপারেশন করতে হবে। আমরা গরিব মানুষ, কোনভাবে দিনাতিপাত করছি। ভাইকে চিকিৎসা করানোর জন্য কিছু জমি বিক্রি করা প্রয়োজন। ওয়ারিশান সনদ না থাকায় জায়গার নামজারি করতে পারছিনা। ভূমি অফিসে গিয়ে দেখি আমাদের জমি অন্য কারও নামে নামজারি করা হয়েছে। প্রতিকার পেতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে একটা মিসকেস করেছি। কিন্ত ওয়ারিশান সনদ না পাওয়ায় রায়টাও পাচ্ছিনা। এ বিষয়ে এসিল্যান্ড স্যার গত বছর চেয়ারম্যানকে ২টি তাগিদপত্র পাঠালেও তিনি কোন জবাব দিচ্ছেনা।
এ বিষয়ে চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি আব্দুল মজিদ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওয়ারিশান সনদ দিতে এসিল্যান্ড অফিস ও ভূমি অফিসের নিষেধ আছে। তারা এলাকার মুরুব্বী নিয়ে আমার কাছে আসুক। আমার নামে কোথাও অভিযোগ হয়েছে বলে আমাকে কোন অফিস জানায়নি।
হরিারমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সনদ না দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। চালা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদকে সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সময়মত রিপোর্ট না পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।