বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান বলেছেন, শনিবার ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ডাক দিয়েছে। তাদের কথা শুনলে হাসি পায়। আমরা তো গত চৌদ্দ বছর ধরেই নির্বাচনে যেতে চাই। তাদের বলতে চাই নির্বাচনে যাওয়ার জন্য বিএনপি মুখিয়ে আছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসুন।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দশ দফা বাস্তবায়ন করতে পারলেই আমরা সাতাশ দফা বাস্তবায়ন করতে পারবো। ক্ষমতায় গেলেই আমরা সাতাশ দফা অর্থাৎ রাষ্ট্র মেরামত করতে পারবো। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের বিজয় হবে সুনিশ্চিত। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ উৎকন্ঠায় ছিল। আমরা একটি রাজনৈতিক নেতাকে একটি ঘোষণা কিংবা নির্দেশনা দিতে দেখিনি। সে মুহুর্তে নিজের ও নিজের পরিবারের জীবন বিপন্ন করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন একজন মেজর হয়েও। সেই মেজর জিয়া বার বার বাংলাদেশের প্রয়োজনে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়ে ভারত পালিয়ে যাননি। থিয়েটার রোডে আরামে ঘুমাননি। রনাঙ্গনে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের হয় আন্দোলন করতে হবে নইলে মরতে হবে। এর বাইরে কোন বিকল্প নেই। আপনারা দেখেছেন এরা কীভাবে পাখির মত গুলি করে আমাদের হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, আজ নারায়ণগঞ্জের একটি ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির তাকে দীর্ঘদিন যাবৎ জেলে ভরে রাখা হয়েছে। তার ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তিনি তার ছেলের জানাজা পড়তে পারবেন কীনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এ নারায়ণগঞ্জে গণতন্ত্রের জন্য মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানের জন্য নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জের দুই নেতা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এমন এক ব্যাক্তি ডা জোবায়দা রহমান যার পরিবারের কোন সম্পত্তিই বাংলাদেশ আমলে কেনা নয়, এই বৈধ টাকাকে অবৈধ বলে ক্রোক করার চেয়ে নির্মম নিষ্ঠুর আর কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, যে দুদক দুর্নীতিবাজদের আতংক হওয়া উচিত সেই দুদক এখন বিএনপি দমন কমিশনে রুপান্তরিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন সরকারের অনুগত হয়ে কীভাবে সরকারকে জেতানো যায় সেই প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। তারা বলেছে, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব তা গাইবান্ধায় প্রমান হয়েছে। আমরা কী ২০১৪ সালে দেখিনি এ সরকার যে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসছে। তারা বলেছিল সেটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা পুরো জাতির সাথে প্রতারণা করেছে। সংবিধান কী তাদের বলেছে দিনের ভোট রাতে লুট করে ক্ষমতায় যেতে। এই সংবিধানের দোহাই বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম প্রমুখ।
