সিরাজগঞ্জে তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশায় গবাদি পশু পালনে বিপাকে পড়েছে গো খামারিরা। সেইসাথে গো খাদ্য সংকট ও শীতজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর। এ কারণে খামারিদের দুধ উৎপাদন কমে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট বড় খামারিতে গরু রয়েছে প্রায় ৯ লাখ। এরমধ্যে দুগ্ধ খামার রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। এসব খামার থেকে প্রতি বছর ৬ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে সিরাজগঞ্জে হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশা পড়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে গবাদি পশু পালনে গো-খামারিরা হিমশিমে পড়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গো-খামারির সংখ্যা বেশি রয়েছে। স্থানীয় অনেক গো খামারি বলছেন, শীত ও ঘনকুয়াশায় গবাদি পশু পালনে বিপাকে পড়েছি এবং গো-খাদ্য সংকট ও তার মূল্য বৃদ্ধিও ঘটছে। ঠান্ডাজনিত কারণে গবাদি পশুর নানা রোগের প্রার্দূভাব ঘটছে। এতে অনেক খামারেই কমে গেছে দুধ উৎপাদন। এ কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিরা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। এ শীত ও ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকলে দুগ্ধ খামারিদের চরম লোকসান হতে পারে। এজন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাংগ কুমার তালুকদার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও গরমে দুধ উৎপাদন কমে যায়। শীতজনিত কারণে গবাদি পশুর জ্বর-সর্দির প্রার্দূভাব দেখা দিয়েছে। তবে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে পশুর চিকিৎসা নিচ্ছে খামারিরা। ইতোমধ্যে এ শীতে গবাদি পশুর শরীরে চটের ছালা জড়িয়ে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।