কক্সবাজারের অদম্য পাঁচ কন্যা অর্জন করলো তায়কুয়ান্দোর ব্ল্যাক বেল্ট

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:১১ | অনলাইন সংস্করণ

  এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার প্রতিনিধি

বাংলাদেশ তায়কুয়ান্ডো ফেডারেশনের ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করেছে কক্সবাজারের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পালস্ পরিচালিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সেবা কেন্দ্র  পালস্ -বানি একাডেমির পাঁচজন সুবিধা বঞ্চিত মেয়েশিশু। বাংলাদেশ তায়কুয়ান্ডো ফ্যাডারেশন থেকে আগত পর্যবেক্ষক টিম পালস্-বানি একাডেমির নিবাসী শিশুদের ৩ দিন ব্যাপী পর্যবেক্ষণ, প্রশিক্ষণের শেষ দিনে বিজয়ীদের কোমরে বেল্ট পরিয়ে দেন বাংলাদেশ  তায়াকুয়ান্ডো ফ্যাডারেশন পর্যবেক্ষক দল প্রধান কোরিয়ান তায়াকুয়ান্দো মাস্টার জুসাং লি। 

তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে কাজ করছি, আমি অবাক হয়েছি এখানে পালস্ বানি একাডেমিতে অবস্থানকারি শিশুদের মনবল দেখে। আমি তাদের জীবন সম্পর্কে জেনছি। নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে এসব সুবিধা বঞ্চিত  ছেলেমেয়েরা যে এত দূর এগিয়েছে তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আমি বাংলা দেশে তায়াকুয়ান্ডো ফ্যাডারেশনকে এবং  কোরিয়ান সরকারকে এই শিশুদের কথা জানাবো। এখন তারা আরো বড় পরিসরে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের এ অর্জনে আমি অনেক খুশি।

ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত মেয়েরা হলেন- দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী রেখামনি, একই শ্রেনীর রিয়া মণি, ৯ ম শ্রেণীর সাদিয়া, দশম শ্রেনীর রাজিয়া এবং ৮ম শ্রেনীর তানিয়া।

সবাই  প্রায় দু'বছর ধরে বানি একাডেমিতে অবস্থান করছে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় এ শিশু নিবাসের ৫ জন রেড বেল্ড ও ২২ জন ইয়োলো বেল্ট অর্জন করে।

পালসের নির্বাহী পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, দুই বছর আগে যখন আমরা এ প্রকল্প শুরু করেছিলাম তখন এমন অবস্থান থেকে শিশুরা এখানে এসেছিলো যেখানে তাদের পরিবারে থাকার জায়গাসহ দু'বেলা খাবারও ঠিক ভাবে জুটতো না। আজ তারা সমাজের অপরাপর সুবিধা ভোগী শিশুদের অনেকটা সমমানের।

এক একজন দক্ষ খেলোয়াড় কেউবা ভালো শিক্ষার্থী কেউবা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অদম্য। আমাদের লক্ষ এই শিশুদের দেশের সম্পদ ও সুনাগরিকে পরিনত করা। আর এ দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা এগিয়ে চলেছে বাস্তাবায়নের পথে।

আমাদের এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি বেসরকারি সংস্থা বানি স্ট্রিট। আমাদের জেলার ৪৮ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সমাজের মূল স্রোতের ধারার সাথে সম্পৃক্ত করা লক্ষ্যে আমাদের যাত্রা, ইতিমধ্যে  ৩২ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুকে বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, পোশাক, শিক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি  খেলাধুলা, শরীরচর্চা, নৈতিক শিক্ষা, দেশীয় সাংস্কৃতিক চর্চা নেতৃত্ব গঠন মূলক সহ নানান বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এই নিবাসে অবস্থান কারি শিশুরা ইতিমধ্যে তায়াকুয়ান্দো, ব্যাটমিন্টন ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করছে।