ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাসপোট অফিসের উপ-পরিচালকের বদলী, কেঁদেছেন সাধারণ মানুষ

পাসপোট অফিসের উপ-পরিচালকের বদলী, কেঁদেছেন সাধারণ মানুষ

চাকরিতে বদলীজনিত বিদায়টা নিয়মতান্ত্রিক একটি বিষয় । ব্যতিক্রম ঘটেছে ময়মনসিংহ অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক ড.হাফিজুর রহমানের বদলী লগ্নে। তার বিদায়ে কেঁদেছেন অনেক সেবা গ্রহীতারা। ১৬ জানুয়ারী সকালে তার সাদামাটাভাবে বিদায় দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ময়মনসিংহের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ।

অফিস সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক ড.হাফিজুর রহমান বদলি হন ফেনী অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। গত ১০.০১.২৩ তারিখে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বদলি সংক্রান্ত এই আদেশ জারি করা হয়।

ড. হাফিজুর রহমান ২০২১ সালের অক্টোবর ময়মনসিংহ অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তবে করোনাকালী দুর্যোগ কাটিয়ে এই অফিসে সচ্ছতা ফিরে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেন। আগে পাসপোর্ট অফিসে আবেদনের বেশির ভাগ দালালের মধ্যস্থতায় জমা হলেও তার প্রচষ্টায় আবেদনকারীরা নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে তা জমা দিতে পারেন তিনি তা নিশ্চিত করেছেন । এতে নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছিলেন দালালদের দৌরাত্ম্য।

বিদায়ের স্মৃতি চারণের এক পর্যায়ে ড.হাফিজুর রহমান বলেন, সেবা দানের মনোভাব নিয়েই এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে এসেছিলাম। দালাল ও হয়রানির অভিযোগ আছে, ছিল, হয়ত থাকবেই। তবে আমি যোগদানের পর প্রতিটি কাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। সেই সঙ্গে চেষ্টা করছি, সেবা নিতে আসা জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে। সেটা হোক সমস্যা সামাধান করে অথবা বিড়ম্বনার কারণ চিহ্নিত ও অবহিত করে বা সেবা প্রার্থীকে শান্তনা দিয়ে।ময়মনসিংহ থেকে বদলী হয়ে গেছি। আমার স্থানে যে কর্মকর্তা স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তার ভালো কাজের মাঝে আমাকে খুঁজে নিবেন।

পাসপোর্ট অফিসের একজন কর্মচারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্যার একজন সদা হাস্যজ্বল মানুষ । চাকরি করতে গিয়ে অনেককেই খুব কাছ থেকে দেখেছি কর্তব্যকে পদদলিত করে নিজের আখের গুছিয়েছেন। তবে সত্যিকার অর্থে সেবা করার মতো কর্মকর্তার সংখ্যা ছিলো হাতে গোনা।

ময়মনসিংহ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত