সিরাজগঞ্জে অর্জিত হচ্ছে না ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা 

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১২ | অনলাইন সংস্করণ

  এস,এম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে মূল্য বেশি থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ৩ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন ধান এবং ৯ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধান ও চাল সংগ্রহে সরকারি মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা এবং সিদ্ধ চাল ৪২ টাকা কেজি নির্ধারন করেছে সরকার। উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত মূল্যে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তবে সরাসরি কৃষকদের কাছে এ দামে ধান চাল সংগ্রহে এখনও তেমন প্রভাব পড়েনি। বাজারের তুলনায় সরকারি দাম কম থাকায় কৃষক ও মিলাররা খাদ্য গুদামে ধান, চাল সরবরাহে এখনও অনাগ্রহ রয়েছে। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবশ্য সরকারের সাথে এ পর্যন্ত ২২০ টি মিলের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখনও  ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। আদর্শ কৃষকেরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে মোটা ও চিকন ধান গড়ে প্রতি মন সাড়ে ১২শ টাকা থেকে ১৩’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকারি ক্রয় মূল্য প্রতি মন ধান ১১২০ টাকা। এদিকে মিলাররা বলছেন, প্রতি কেজি চাল তৈরী করতে খরচ পরে প্রায় ৪৫ টাকা কেজি এবং সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা। বর্তমান বাজারে মোটা ও চিকন ধানের গড়ে মূল্য বেশি এবং এখন বাজারে পর্যাপ্ত ধানও নেই। এজন্য বেশি মূল্যে ধান কিনে গুদামে চাল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। অসৎ ব্যবসায়ীরা ধান চাল মজুদ করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে ধান ও চাল সরবরাহ না করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জোর চেষ্টা চলছে। এ সংগ্রহ অভিযান ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ক্রয় অভিযান চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।