রাইস মিলের বর্জে খাল ভরাট
কালিহাতীর চার গ্রামে বোরো চাষ অনিশ্চিত
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের ধুনাইল, হালদিয়া, চকখিলদা ও ঝাটিবাড়িসহ চারটি গ্রামে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাইস মিলের বর্জে খাল ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক ভূক্তভোগী কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।
আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চক খিলদা, ঝাটিবাড়ি ও হালদিয়া বিলের নিচু জমিগুলোর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি দুই বছর আগে স্থাপিত ধুনাইল স্বাধীন বাংলা অটো রাইস মিলের বর্জ ও ছাই ফেলার কারণে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরেও উল্লেখিত নিচু জমিগুলো থেকে এখনো পানি নেমে যায়নি। স্থানীয়রা রাইচ মিল মালিকদের বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করায় এলাকাবাসীর প্রতি মিল মালিকরা ক্ষুব্ধ।
ধুনাইল গ্রামের শফিকুল ইসলাম, চানু শেখ, আব্দুল আজিজ, ইমান আলী, সেকাম আলী, আব্দুল কদ্দুছ ও আব্দুল কাদের সহ আরো অনেকে জানান, রাইচ মিল মালিকরা প্রভাবশালী। তারা প্রশাসনসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে আতাত করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভূক্তভোগী শাহিনা বেগম জানান, স্বামীর রেখে যাওয়া দেড় বিঘা জমিতে সবজিসহ বিভিন্ন চাষাবাদ করে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে দিনাতিপাত করেন। স্বাধীন বাংলা অটো রাইস মিল স্থাপন করার পর থেকে ওই মিলের কালো ছাই ও বর্জে তার ফসলি জমি আবাদের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
স্বাধীন বাংলা অটো রাইস মিলের সত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম খান জানান, তারা তাদের ক্রয়কৃত ভূমিতে রাইস মিল স্থাপন করেছেন। খালের একটি অংশও তাদের ক্রয়কৃত। তারা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সকল প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছেন।
কালিহাতী উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষি জমিতে বোরো চাষ বিঘ্নিত হলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। উৎপাদন বাড়াতে এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন জানান, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।