সিসি ক্যামেরা বন্ধের সুযোগ নিল দুবৃত্তরা, স্বশস্ত্র হামলায় বাড়ীঘর ভাংচুর

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  মোজাম্মেল হক খোকন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবুর রহমান দুলালের সাথে সম্প্রতি একটি রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ লিটন ওরফে বড় মিয়া’র। গত এক মাস ধরে সৃষ্ট এই বিরোধে মাঝে মধ্যেই ঘটছে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা। বিষয়টি গড়িয়েছে থানা-পুলিশেও।  

এসব ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবুর রহমান দুলাল তাঁর এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে স্থাপন করেছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। তবে গত কয়েকদিন আগে পবিত্র ওমরা পালনে সৌদি আরবে চলে যান কাউন্সিলর মাহাবুবুর রহমান।

এরই মাঝে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ওই এলাকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন মেরামতের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে মর্মে এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এ সুযোগে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ লিটনের অনুসারী ও যুবদল নেতাকর্মীদের একটি অংশ একত্র হয়ে নগরীর গোহাইলকান্দি মীরবাড়ী এলাকার কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ টি বাড়ীঘরে হামলা চালায়।  

এ সময় স্বশস্ত্র মহড়ায় ভাংচুর করা হয় সিসি ক্যামেরা, বসতঘর এবং দোকানপাট। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫ নারী ও পুরুষ।

আহতরা হলেন- আশরাফ মীর (৫৬), ফজিলা খাতুন (৫০), বকুল বেগম (৩৭), শ্যামা আক্তার (৩০) ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।

ভুক্তভোগী মীর হায়দারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির লোকজন ও স্থানীয় এক যুবদল নেতার লোকজন মিলে এই স্বশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়ায় বসত ঘর ও দোকানপাটে হামলা করে ভাংচুর চালায়।

তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকার সুযোগে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রে মহড়ায় এই হামলা চালিয়েছে।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ লিটনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, পূর্ববিরোধে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।