প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র সাক্ষাৎ
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বাংলাদেশের ৪৯ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের সাথে বৈঠক করেন। তিনি সেখানে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষা পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা করেন। রবির ভিসি এ মতবিনিময় সভায় রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবি’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৮ই মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের অমর স্রষ্টা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে শাহজাদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশে কবিগুরুর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের, আপনি সেই স্বপ্ন পূরণ করে কবিগুরুর নিকট বাঙালির যে ঋণ রয়েছে তার কিছুটা শোধের ব্যবস্থা করেছেন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সেই মুহুর্তে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি এবং সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হই। আরো একটি বছরের নিরলস পরিশ্রমে বিভাগগুলোর চূড়ান্ত পরীক্ষা সমাপ্ত হয়। এরমধ্য দিয়ে ৩টি বিভাগের গ্রাজুয়েট তৈরি করতে সক্ষম হই। স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় নানা সংকট রয়েছে তদুপরি আমাদের পক্ষ থেকে অস্থায়ী অবকাঠামোমূলক সুযোগ সুবিধা তৈরিসহ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের চর্চার মাধ্যমে রবির শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশ দেবার ক্ষেত্রে সচেষ্ট ছিলাম সব সময়। আমরা ইতিমধ্যেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ স্থাপন প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি এবং তা নিরীক্ষাধীন রয়েছে। আপনার অনুুকূল্য পেলে নিশ্চয়ই আপনার তৈরি প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবে। এছাড়া যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আঞ্চলিক পর্যায় স্থাপিত হয়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং বা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ভীষণ কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং বা ইন্টার্নশিপ ট্রেনিং ছাড়াই তাদের গ্রাজুয়েট হতে হয়। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ করে যদি একটি আইন পাস করা যায় যে, প্রত্যেকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্যাপাসিটি তারা ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন। তাহলে হয়তো সারা বাংলাদেশে এই ইন্টার্নশিপ এর সংকটটি দূর হবে।
এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ডুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর হাবিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমান প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।