মানিকগঞ্জে ফুলকপি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মো. বাবুল মিয়া। তার দেখাদেখি গ্রামের অনেকেই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। দশ কাঠা জমি দিয়ে চাষ শুরু করে বর্তমানে পাঁচ বিঘার অধিক জমিতে ফুলকপি চাষ করছেন তিনি। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সময় লাগেনি বাবুলের।
সফল চাষি বাবুল মিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বরুরিয়া গ্রামে।
বাবুল মিয়া বলেন, আমি পেশায় একজন কৃষক। গত পাঁচ বছর ধরে ফুলকপি চাষ করছি। বাজার ও ফলন ভালো হওয়ায় ফুলকপি চাষ আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ২০১৮ সালে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে আমি ফুলকপি চাষ শুরু করি। প্রথম বছরে অল্প চারা রোপণ করেই ভালো লাভবান হই। পরের বছরে এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করি। এতেও লাভের মুখ দেখি। এরপর থেকে আমি অল্প অল্প করে জমি বাড়িয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ৫ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করি। প্রতিদিন জমিতে এসে নিজেই পরিচর্যা করি। যখন নিজে না পারি তখন দিনমজুর সাথে রাখি।
তিনি বলেন, চারা রোপণের ২ থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ফুলকপি বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। বিক্রি করার সময় প্রতি কেজির দাম পাচ্ছি ২০-৩০ টাকা। বিক্রি করা শেষ পর্যন্ত আমার ৫ বিঘা জমিতে খরচ হবে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার টাকা। আর আমার বিক্রি হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আরও বড় পরিসরে ফুলকপির চাষ করব। আমি মনে করি নিজের বাড়তি সময় নষ্ট না করে সকলেরই সবজি চাষে এগিয়ে আসা উচিত।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মাজেদুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ফুলকপির চাষ করে আসছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, কম খরচে অধিক লাভজনক সবজির দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফুলকপি। শীত মৌসুমে এলাকাভেদে ফুলকপি দুই থেকে তিনবার চাষ করা যায়। মানিকগঞ্জ ঢাকার কাছে হওয়ায় কৃষক সরাসরি ভোক্তার কাছে সতেজ সবজি পৌঁছাতে পারে। আন্তরিকতা নিয়ে চেষ্টা করলে কৃষিতে বাবুল মিয়ার মতো যে কেউ সাবলম্বী হতে পারেন।