অবশেষে উচ্ছেদ হলো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩টি থানার সীমান্তে অবস্থিত রেলের ভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ মাদকের স্পট ও চোরাকারবারিদের অভয়ারণ্য স্ক্রাব কলোনী।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ হোসেন রানার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। এসময় ৩ শত ৬২ টি স্থাপনা উচ্ছেদ পূর্বক ১০৫০ জন প্রায় অবৈধ দখলদারকে সরিয়ে ১দশমিক ০১ একর জায়গা উদ্ধার করে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সিএমপি'র আকবরশাহ থানাধীন এই স্ক্রাব কলোনীটি খুলশী ও পাহাড়তলী সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে অপরাধ দমনে হিমসিম খেতে হচ্ছিলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। অপরাধ নিধন করতে গিয়ে এই পর্যন্ত বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা, বাদ যাইনি সাংবাদিকও।
সর্বশেষ গত (২২ নভেম্বর) বিকেলে মহিউদ্দিন সাগর নামে এক সংবাদকর্মী সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেলে তারা সাংবাদিক মহিউদ্দিন সাগরের ওপরও হামলা চালায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক নগরীর খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে হামলায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তিনজনকে আটক করে খুলশী থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে স্ক্রাব কলোনি উচ্ছেদের দাবিতে পাহাড়তলী এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় ছাত্রসমাজ, যুব সমাজ, বিভিন্ন সমাজ কল্যান, মসজিদ কমিটি, মন্দির কমিটি, শ্রমীকলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার কার্যালয় চত্বর ঘেরাও করে মানববন্ধন করে প্রীতিলতা স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। স্মারকলিপি প্রদান করা হয় পুলিশ কমিশনার ও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদ কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে সরাসরি উপস্থিত হয়ে উচ্ছেদ অভিযান তদারকি করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান। উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ মোস্তাইন হোসেন।