বরিশালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভাংচুর

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  নিকুঞ্জ বালা পলাশ, ব‌রিশাল

রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মে‌ডি‌সিন বিভা‌গের চিকিৎসকদের কক্ষে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে স্বজনরা । রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপু‌রে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট -২ এর চিকিৎসকদের কক্ষে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার পর হামলাকারী মৃত রোগীর ছেলেকে পুলিশ আটক করলেও মানবিক কারণে চিকিৎসকদের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃত রোগী শহিদুল ইসলাম (৫০) সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কলসগ্রাম এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। 

মৃত রোগীর শ্যালক জানান, তার ভগ্নিপতি গত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। সকাল ৯টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আনার পর মেডিসিন ইউনিট ২ এ ভর্তি করা হয়। এখানে ভর্তির পর তার ভগ্নিপতির বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। নার্স অক্সিজেন দিতে দেরি করায় তার ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়। এসময় কর্ব্যরত চিকিৎসক এসে কর্তব্যরত নার্সদের বকাবকি করেছে। রোগীর মৃত্যুর পর তার ছেলে জুম্মান ক্ষুদ্ধ হয়ে চিকিৎসকের কক্ষে ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করলেও কিছুক্ষন পরে ছেড়ে দিয়েছে। 

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. মাইনুল বলেন, মৃত রোগীর ছেলে জুম্মান চিকিৎসকের কক্ষে টেবিলের গ্লাস, চেয়ার ও কাপ-পিরিচ ভেঙ্গে ফেলেছে। খবর পেয়ে তারা গিয়ে জুম্মানকে আটক করেন। পরে বাবার মৃত্যুর কারণে মানবিক দৃষ্টিতে চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

হাসপাতালের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। তবুও রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়। তাই এই ওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরী হয়ে পরেছে। 

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক। চিকিৎসক তিনজন হলে রোগী চারশ থাকে। তাই চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না। কিন্তু চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয় সেটা সঠিক নয়, চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। 

চিকিৎকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। গনপূর্ত বিভাগের সাথে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপনেরও তাগিদ দেয়া হয়েছে।