সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাতে প্রেসক্লাব হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব নিয়ে উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতি নিরসনে সিনিয়র সদস্য শহিদুল ইসলাম ফিলিপস এ সভা আহ্বান করেন। সভায় প্রেসক্লাবের মোট ৪৭ জন সদস্যের মধ্যে ৩২ জন স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও ৬ জন জরুরী কাজে বাইরে থাকায় মোবাইলে সংযুক্ত হয়ে সভার সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেন।
প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইসরাইল হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসান, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এস,এম তফিজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজল-এ-খোদা লিটন, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সরকার, প্রচার সম্পাদক গাজী এস, এইচ ফিরোজী, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য ইসমাইল হোসেন, খ, ম একরাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মান্না রায়হান, আব্দুল হামিদ খান হীরা, সেলিম রেজা, নুরুল ইসলাম রইসী, মাহমুদুল হাসান উজ্জল, মাসুদ রানা ওয়াসিম, আব্দুস সামাদ সায়েম, রহমত আলী, স্বপন চন্দ্র দাস, নজরুল ইসলাম, সাজিরুল ইসলাম সঞ্চয়, মোস্তাক আহমেদ নওশাদ, জাকারিয়া হোসেন টুটুল ও রোমান আহমেদ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রেসক্লাব পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য বর্তমান কমিটিকে ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় জরুরী সভার সিদ্বান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের সিদ্বান্ত নেয়া হয়। সেইসঙ্গে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটিকে পাস কাটিয়ে গঠনতন্ত্র বর্হিভূতভাবে ১৯ জন নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্তিকরণের পায়তারার বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা। সদস্য অর্ন্তভূক্তির বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ভিন্ন ভিন্ন তারিখের একাধিক চিঠি-ই তার প্রমাণ।
এ সভায় সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, মৌলভী নজরুল ইসলাম, আহসান হাবীব মুন্না, জহুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও এস, এম আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।