পাবনায় হত্যা মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৯ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরের দিঘী গোহাইল বাড়ি এলাকার মন্টু প্রামাণিক, সাহেব মোল্লা ও নওজেস প্রামাণিক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চরতারাপুরের দিঘী গোহাইল বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিঘী গোহাইল বাড়ি গ্রামের মাহাতাব উদ্দিন গংদের সাথে দন্ডপ্রাপ্তদের বিরোধ চলছিল। ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঐ বিরোধ মিমাংসার জন্য স্কুলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত মাহাতাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাতাব মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আবু বক্কর সিদ্দিকী বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আদালত ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৯ জনকে মামলা থেকে খালাস দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সনৎ কুমার সরকার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এটা একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড ছিল। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিয়মান হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার সরকার বলেন, আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।