ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শষ্যভান্ডার খ্যাত এলাকার মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

সিরাজগঞ্জে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন 

সিরাজগঞ্জে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন 

সিরাজগঞ্জের শষ্যভান্ডার খ্যাত চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে অবাধে ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর এসব ফসলি জমির মাটি নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। তাদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঐতিহাসিক চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে এসব পুকুর খনন করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে ওই তিনটি উপজেলার ফসলি জমিও কমে যাচ্ছে এবং খননকৃত পুকুরের আশপাশের ফসলি জমিগুলোও নষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি এ পুকুর খনন করা হচ্ছে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। পুকুরখননকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা কৃষকেরা।

স্থানীয়রা জানান, বেশিরভাগ অবৈধ ইট ভাটা বাঁচাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার হয় না। তবে হঠাৎ ২/১ বার লোক দেখানো অভিযান চালায় প্রশাসন। আবার ম্যানেজ করেই পুকুর খনন শুরু হয়ে থাকে। এ কারণে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না। অবশ্য পুকুর খননকারীর অনেকেই বলছেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এসব পুকুর খনন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার বিধান নেই। অবৈধভাবে পুকুর খনন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অবৈধভাবে এ পুকুর খনন বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

সিরাজগঞ্জ,ইটভাটা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত