ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাসিকের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

নাসিকের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দল। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসারের নেতৃত্বে দলটি নাসিকের নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিনিধি দলটি শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় তাদের সামনে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। পরে শহরের শেখ রাসেল নগর পার্ক, বাবুরাইল লেক, জিমখানা লেক এবং নিমতলী লেক পরিদর্শন করেন তাঁরা।

দুপুরে সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে শহরের উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দেয় প্রতিনিধি দলটি। সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার, কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক, নাসিক সিও শহীদুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম, নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ইশিতা এ অবনী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় নাসিকের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জকে ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলার রূপরেখা উপস্থাপন করেন নাসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ। এ ছাড়া চলমান বর্জ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পার্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, ঐতিহাসিক স্থাপনার কার্যক্রম তুলে ধরেন। উত্থাপিত প্রকল্পের কাজ দেখে সন্তোষ জানান বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দল।

বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাগুলো ভালো এবং সুদূর প্রসারিত। কিন্তু বর্তমানে দেশে বিদ্যমান একাধিক দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। দাপ্তরিক জটিলতা অব্যাহত থাকলে তা দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে অন্তরায় হবে। এই বিষয়ে আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘নাসিকের পরিকল্পনায় আমি অভিভূত। আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থাকেই অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আসছি। সেদিক থেকে আমরা আন্তরিক।’

সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ডিজিটালের পরে স্মার্ট সিটি গড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর জন্য মানুষকেও স্মার্ট করতে হবে। আমাদের যেসব দপ্তরগুলো আছে তারা যদি আন্তরিক হয় তাহলেই আমরা স্মার্ট নগর গড়ার কাজে হাত দিতে পারি। এজন্য আমাদের সহযোগী উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সহায়তা অনেক বেশি প্রয়োজন। তাদের সহায়তার মাধ্যমেই আমরা নগরবাসীকে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে পারি।’

সিটি করপোরেশন,নগর পরিকল্পনা,উন্নয়ন কার্যক্রম,পরিদর্শন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত