গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে ১৬ জন প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত দাখিল করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের কাছে জীবনবৃত্তান্ত দাখিল করেছেন।
কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা। এটি আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতে যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন তিনিই মেয়র নির্বাচিত হবেন। তাই দলীয় মনোনয়ন পেতে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন শেখ, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র এস এম মিজানুর রহমান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মোঃ আলীউজ্জামান শেখ, ব্যবসায়ী কমল সেন, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক প্রয়াত নারায়ন চন্দ্র দামের স্ত্রী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লীলা দাম, উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক সাবানা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নার্গিস সুলতানা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এই পর্যন্ত ১৬ জন প্রার্থী আমাদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। আমরা সকল প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত জেলা আওয়ামী লীগের কাছে প্রেরণ করেছি। জেলা আওয়ামী লীগ এটি ঢাকা পাঠাবে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ যাকে যোগ্য মনে করবে, তাকেই মনোনয়ন দেবে। আর যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তার নির্বাচন করবো।
এদিকে তফসিল ঘোষনার পরেও এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের নেতা কর্মীদের নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। এমনকি আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনও চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২০ মার্চ ইভিএম এর মাধ্যমে এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।