সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আনন্দঘন পরিবেশে আড়াই’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী দইমেলা শুরু হয়েছে। দেশের সনাতন ধর্মালম্বিদের স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই এ দইমেলাকে ঘিরে এলাকায় সরগম হয়ে উঠেছে।
বুধবার বিকেল থেকেই তাড়াশ উপজেলা সদরের ঈদগাহ মাঠে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘোষদের বাহারি রকম দই আসার মধ্য দিয়ে এ মেলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ মেলা উপলক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি জামাইসহ আত্মীয়স্বজন এসছে। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, জমিদারি আমলে তাড়াশের তৎকালীন জমিদার পরম বৈঞ্চব বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম রশিক রায় মন্দিরের মাঠে দই মেলার প্রচলন শুরু করেছিলেন। সে সময় থেকেই প্রতি বছর চলে আসছে এই দইমেলা।
মেলায় আমদানি হওয়া দইগুলোর নামগুলোও ভিন্ন ভিন্ন। এসব দইয়ের মধ্যে ক্ষীরসা দই, শাহী দই, চান্দাইকোনা, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, ডায়াবেটিক দই, শ্রীপুরী দই উল্লেখযোগ্য। বৃহস্পতিবার দিনভর এ মেলায় দইয়ের পাশাপাশি ঝুড়ি-বুন্দি, মুড়ি-মুড়কি, চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমাসহ নানা স্বাদের বিভিন্ন রকমের সব খাবার বেচাকেনা হচ্ছে। দই ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দুধের দাম, জ্বালানি, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি। এ কারণে দইয়ের দামও এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মেলায় নিয়ে আসা সব দই বিক্রি হবে বলে তারা জানান।