মানিকগঞ্জে মাহফিলের বয়ানে বাঁধা: সভাপতিকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর বন্ধু মহলের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল চলাকালে প্রধান বক্তার বয়ানে সভাপতি বাঁধা দিলে উত্তেজিত মুসুল্লীরা তাকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে। এতে হট্টগোল বেঁধে ওয়াজ মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়।
বৃহষ্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) চান্দহর বাজার সংলগ্ন মাঠে ১৪ তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
সরেজমিন শনিবার (২৮ জানুয়ারি) প্রত্যক্ষদর্শী মুসুল্লীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিল চলাকালীন বিশেষ বক্তার বয়ান শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে প্রধান বক্তা মুফতি রিজওয়ান রফিকী তার ওয়াজ শুরু করেন। মানব জাতির সৃষ্টি থেকে শুরু করে এক পর্যায়ে মানুষ জাতি ও বানর থেকে নিয়ে কথা বলতেই সভাপতি তাকে থামিয়ে দেন। অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বক্তাকে আক্রমণে উদ্যত হন। এ সময় উপস্থিত শ্রোতা মুসুল্লীরা ওই সভাপতিকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে। হট্টগোল বেঁধে ওয়াজ মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আগত মেহমানদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়।
চান্দহর প্রবাসী বন্ধু মহলের সদস্য রতন মাদবর, মোফাজ্জল হোসেন, রবিউল খান ও হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের অর্থায়নেই ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। কিছুটা সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবেই আমরা মাহফিল বন্ধ করে দেই।
চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো.সালাহউদ্দিন বলেন, আমি স্বশরীরে ওই সময়ে উপস্থিত ছিলাম না। তবে সানোয়ার ভাইয়ের ওপর জুতা নিক্ষেপের কথা শুনেছি।
এ প্রসঙ্গে সভাপতি মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, কেউ যদি ওখানে খারাপ কিছু করে সেটা প্রতিরোধ করা কি অপ্রীতিকর ঘটনা নাকি? উনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছিল, উত্তেজিত জনতা তাকে থামিয়ে দিয়েছে। তার ওপর জুতা নিক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এলাকা আমার, আমি যদি খারাপ কাজও করি অতবড় সাহস হবেনা আমার উপর চড়াও হওয়ার।
চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি শওকত হোসেন বাদল বলেন, আমি ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে যেতে পারিনি। তবে শুনেছি সানোয়ার ভাইয়ের ওপর জুতা নিক্ষেপের কথা।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অন্তর্গত (বাথুলী) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. আবু হানিফ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই, আমি স্টেশনে ছিলাম না।