মতলব উত্তরে দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখছে ইজিপিপি প্রকল্প

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ

  মো. দ্বীন ইসলাম, মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অতিদরিদ্রদের জন্য গৃহীত ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচি (ইজিপিপি) সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মহীনদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে বড় ভূমিকা রাখছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অতিদরিদ্র্ররা অভাব -অনটনের সময় কাজ পাচ্ছে, অন্যদিকে এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাঁচা রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার হচ্ছে। 

জানা গেছে, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারির ফলে এসব প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের (ইউপি) প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কাঁচা রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। উপজেলার সুলতানাবাদ, জহিরাবাদ, ফরাজীকান্দি, কলাকান্দা, এখলাছপুর, সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প রয়েছে, যেখানে দীর্ঘদিন মাটির কাজ হয়নি। এদিকে দীর্ঘদিন পরে এসব গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তরে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রথম ধাপে ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) মোট ৩৫টি প্রকল্পের অনুকুলে ১ হাজার ৩শ’ ৫৯ জন শ্রমিক রয়েছে। একজন শ্রমিক প্রতিদিন ৪শ’ টাকা হারে ৪০ দিনে মোট পারিশ্রমিক পাবেন ১৬ হাজার টাকা। প্রত্যেকেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যথাসময়ে তাদের পারিশ্রমিক নির্বিঘ্নে বুঝে পাবেন। 

এদিকে সুলতানাবাদ ইউপির উত্তর টরকী, ফরাজীকান্দি ইউপির ঠাকুরপাড়া, জহিরাবাদ ইউপির জহিরাবাদ চরে এলাকায় দেখা গেছে, গ্রামীণ জনপদে বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার কাজ। এ ব্যাপারে সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজে অনিমের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে তার এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামোর দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি অতিদরিদ্র কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের সূযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানও বেড়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আওরঙ্গজেব বলেন, এবার ইউএনও মহোদয়ের কঠোর নির্দেশ ও দেখভাল করায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজে কোনো অনিয়ম ও দূূর্নীতির আশ্রয় নিতে পারছেনা। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। 

ইউএনও মো. আশরাফুল হাসান বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায়ই ৪০ দিনের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বিভিন্ন প্রকল্পে দীর্ঘদিন থেকে কোন ধরনের মাটি ভরাট হয়নি। তাই এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ইউনিয়ন বাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ অনেকাংশ লাঘব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।