ময়মনসিংহে গরু পালন করে স্বাবলম্বী, আগ্রহ বেড়েছে যুবদের
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
শামছুজ্জামান বাবুল, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
গরুর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রসুলপুর চরপাড়া গ্রামের দুবাই ফেরত কৃষক মো. হারুন অর রশিদ। তিনি প্রতি ছয় মাস পরপর ৩০ থেকে ৪০টি মাঝারি সাইজের ষাঁড় গরু কিনে খামারে লালন পালন করে বড় করে বিক্রি করছেন। প্রতি বছর দুই ধাপে ৭০ থেকে ৮০টি গরু পালন করে বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন ওই খামারি।
খামারি হারুন অর রশিদ জানান, তিনি ১৪ বছর দুবাই ছিলেন। সেখান থেকে করোনাকালীন সময়ের ছয় মাস আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। পরে করোনা মহামারির কারণে আর সেখানে যেতে পারেননি। এরপর উদ্যোগ নেন গরু পালনের। প্রথমে তিনি চারটি মাঝারি সাইজের ষাঁড় গরু কিনে এনে লালন পালন করতে শুরু করেন । প্রথমবারই বেশ লাভের মুখ দেখতে পান। পরে এক এক করে উপজেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পছন্দের সাইজের মাঝারি ষাঁড় গরু কিনে এনে খামার শুরু করেন। তিনি ছয় মাস পর্যন্ত যত্নসহকারে গরুগুলো লালন পালন করে বিক্রি করে দেন। গরু পালনে তার এমন পদ্ধতিতে তিনি বেশ লাভবান। তার এই খামারের বয়স হয়েছে প্রায় আড়াই বছর। এপর্যন্ত সব খরচ বাদে তিনি ১২ লাখ টাকার বেশি আয় করেছেন।
তিনি বলেন, গরুর ফার্ম করে আমি অনেক লাভবান। গত ছয় মাসে ৩৫টি গরু পালন করে ৪০ লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এতে আমার সব খরচ বাদে ৫ লাখ টাকার বেশি লাভ হয়েছে। এখন পর্যন্ত গরু পালন করে আমার কোন ধরণের লস গুণতে হয়নি। আমি অনেক লাভবান। বিদেশে থেকে যে টাকা কামাই করতাম গরু পালন করে এখন আমি দেশেই তা আয় করতে পারছি।
বর্তমানে তিনি প্রতি ছয় মাসে ৩০ থেকে ৪০টি ষাঁড় গরু পালন করছেন। বছরে ৭০ থেকে ৮০টি গরু পালন করে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লাভ করতে পারছেন বলে জানান। হারুন অর রশিদ বলেন, গরুর খাদ্যের জন্য তিনি বর্তমানে তার জমিতে ঘাস চাষ করেছেন। ওই ঘাসেই গরুর খাদ্যের অভাব পূরণ করে। তাছাড়াও তিনি গরুর খাদ্য তালিকায় রাখছেন পরিমাণ মত খের, ভূষি, লালি, ভুট্টা, ধানের কুড়া। তিনি জানান, কোন ধরণের ঔষধ ছাড়াই এসব খাবারে তার গরু দ্রুত বড় এবং পরিপাটি হচ্ছে। তার এমন উদ্যোগ দেখে এলাকার যুব সমাজের অনেকেই গরু পালনে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানান তিনি।