প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিয়ে প্রতিবন্ধীর বাড়িতে জেলা প্রশাসক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
মানিকভূঁইয়া, নোয়াখালী প্রতিনিধি
হুইল চেয়ারের অভাবে হামাগুড়ি দিয়ে চলা বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রতিবন্ধী রাব্বি হোসেনের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ নিয়ে হাজির নোয়খালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল গণি মুন্সীর বাড়িতে যান তিনি।
জানা যায়, 'হামাগুড়ি দিয়ে চলছে রাব্বির জীবন' শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের। তিনি রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ নিয়ে হাজির হন। এসময় তিনি কর্মসংস্থানের জন্য মালামালসহ দোকানের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। দোকানের কাজে সমন্বয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাতকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাব্বি হোসেনের মা রৌশন আক্তার। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে আমার এই ছেলেকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। সে জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। ডিসি স্যার আমাদের পাশে দাঁড়াইসেন। আমি নামাজ পড়ে স্যারের জন্য দোয়া করবো।
রাব্বি হোসেনের বাবা মো. মাসুদ বলেন, আমি গাছ কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। ডিসি স্যার দোকানের ব্যবস্থা করেছেন। দোকানের আয় দিয়ে সংসার চলাতে পারবো। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি ডিসি স্যারকেও ধন্যবাদ।
প্রতিবন্ধী রাব্বি হোসেন বলেন, আমার আর কষ্ট থাকবেনা। আমি হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করতে পারবো। আমার পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমে নিউজ টি দেখে আমি প্রতিবন্ধী রাব্বি হোসেনের বিষয়ে খোঁজ নিই। আজকে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করেছি। পরিবারটি অসহায় জেনে নগদ অর্থ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আছে সারা বাংলাদেশে কেউ কর্মহীন থাকবেনা। যারা কর্মহীন আছে তাদের সরকারি সেবায় আনবো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি।
দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, আমরা দোকান সাজিয়ে দিবো। বিষয়টি সমন্বয় করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন যতই রিমোট এলাকার মানুষ হোক না তাদের ভালভাবে জীবনযাপন নিশ্চিত করতে। আমরা সবাই মিলে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে কাজ করছি। আমরা চাই এমন নিউজ আমাদের কাছে আসুক তাহলে আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিনাত, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ অধিকারী, কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুর হোসেন মাসুদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন, নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মেহেদি হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।