ফেনীতে দেশি-বিদেশী ফল চাষে সাফল্য এনেছে ‘জান্নাত এগ্রো বিডি’
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
ফেনী প্রতিনিধি
স্বাদ ও পুষ্টিতে মৌসুমি ফল কুল একটি উৎকৃষ্ট মানের ফল। মানবদেহের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিনের উৎস হচ্ছে কুল। কুল শুধু ফল হিসেবেই নয়, এটি থেকে আচার, চাটনি তৈরি করা হয়। নিরাপদ ও বিষমুক্ত ফল চাষ করে প্রথম বছরেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আমিন বাজারের শিক্ষিত উদ্যোক্তা রণি, মাসুদ ও জাহিদুল ইসলাম। তারা ৫ একর জায়গায় ‘জান্নাত এগ্রো বিডি’ নামে একটি ফলের বাগান করেছেন।
বর্তমানে তাদের বাগানে প্রায় ৭/৮ হাজার বিভিন্ন জাতের ফল গাছ রয়েছে। তবে তাদের মূল প্রজেক্ট হচ্ছে মাল্টা, কমলা, আম ও ড্রাগন ফল। বতর্মান মৌসুমে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন জাতের কুল ও পেয়ারা। তারা কোনো দেশি জাতের নয়, বিদেশি জাতের কুলসহ বিভিন্ন ফল ও সবজি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
তারা জানান, এবার তাদের বাগানে টক ও মিষ্টি কুল, থাই কুল, বাউ কুল ও বল সুন্দরীসহ বেশ কয়েকজাতের কুলের বেশ ভাল ফলন হয়েছে। বর্তমানে তাদের বাগানের প্রতিটি গাছে বিভিন্ন জাতের কুল ঝুলছে। কুলের গায়ে রঙ আসতে শুরু করেছে। দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে পুরো বাগানটি। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীরা তাদের কুল বাগান দেখতে আসছে। অনেকেই নতুন নতুন বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত এক মাসে তারা প্রায় ১২০০ কেজি কুল বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই অন্যান্য জাতের কুলগুলো বাজারজাত করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
তোফায়েল আহমেদ রনি বলেন, সব মিলিয়ে কুল বাজারে তোলা পর্যন্ত তাদের খরচ হবে ১ হাজার ৫০০টি গাছে প্রায় ১ লাখ টাকা। বাগানে ফলন খুবই ভালো হয়েছে। সামনে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে, আশা করছি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রয় করতে পারব।
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ জানান, বর্তমানে তাদের বাগানে ১৩ জাতের ড্রাগন, কয়েক জাতের আংগুর, ডালিম ও মালবেরি, ১২ মাসী থাই পেয়ারা ও মাধবী পেয়ারা গাছ রয়েছে। মাল্টা গাছ আছে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৬০০টি, কমলা গাছ আছে ৩০০টি, আম গাছ আছে ২৬ জাতের ৩০০টি। পাশাপাশি আছে ২০০টি পেঁপে গাছ।
জান্নাত এগ্রো বিডির আরেক উদ্যোক্তা হাফেজ জাহিদুল ইসলাম জানান, কৃষিকাজের প্রতি তার আগ্রহটা আগে থেকেই। যে কারণে তিনি দেশে-বিদেশী ফল চাষে সাফল্য আনার চেষ্টা করছেন। তারা তাদের খামারে ফলের পাশাপাশি বেশ কিছু সবজি চাষও করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ব্রকলি, সীম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া ও বিভিন্ন রকমের শাক। এখানে তারা ৩ জন উদ্যোক্তা ছাড়াও আরও ৩/৪ জন লোক কাজ করে। আর সিকিউরিটির জন্য একটা জার্মান শেফার্ড পালন করছেন।