নারায়ণগঞ্জে রেস্তোরাঁ ম্যানেজার নিহত: এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় গুলিবিদ্ধ ‘সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁ’র ম্যানেজার শফিউল আলম কাজল (৫০) নিহতের ঘটনায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও তার সহকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের বাগে জান্নাত এলাকায় লাশ পৌঁছলে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী ও তার সহকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে অভিযুক্ত আজহারসহ দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা। কাজলের লাশকে ঘিরে তার সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের কান্নায় আশপাশের এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁ’র কর্মচারী ইব্রাহিম বলেন, আমাদের ম্যানেজার কাজল অনেক ভাল মানুষ ছিলেন। তার কোন দোষ ছিলনা। তাকে বিনা দোষে কোন কথা ছাড়াই গুলি করে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। দোষীদের ফাঁসির দাবি জানাই। 

আরেক কর্মচারী সোহাগ বলেন, আমাদের ম্যানেজারের মতো মানুষ হয় না। তাকে বিনা দোষে আজহার গুলি করেছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল মারা যান। নিহত কাজল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের শাহ আলমের ছেলে। তিনি বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় আঙ্গুরা শপিং কমপ্লেক্সে সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁয় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হন এক নারীসহ পাঁচজন। এর মধ্যে কাজলের অবস্থা গুরুতর ছিল।

পরে এ ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী বাদী হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজাহার তালুকদার ও আরিফ তালুকদার মোহনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। আর এই মামলায় আসামি বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই সাথে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।

রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পানির বিল বাবদ ১০ লাখ টাকা চেয়ে আমাদের গালমন্দ করতে থাকেন আজাহার। আমরা এর প্রতিবাদ করি এবং বলি, এ বিষয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলবো। কিন্তু তিনি কথা না শুনে দৌড়ে পিস্তল ও শটগান এনে গুলি চালান। আমাদের ম্যানেজার কাজলসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।’

এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে একজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। রাগের বশেই এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’