আধিপত্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
মোল্লাকান্দিতে গুলিবিদ্ধ দুই শিশুসহ আহত ১১
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ ও উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের কংশুপুরা, মুন্সীকান্দি, বেহেরকান্দি, ঢালীকান্দি, নোয়াদ্দা ও লক্ষ্মীবেদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, কংশুপুরা মনু মোল্লার ছেলে পরান মোল্লা (১২) ও পুরা বাজারের শাহজালাল মোল্লার ছেলে মো. সুমন মোল্লা (১৮)। তাদের দুইজনকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া বাকি আহতদের শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বশাক জানান, তাদের দুইজনের চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুলির স্প্রিন্টারের আঘাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার শুরু হয় ঢালীকান্দি আজিজ কুরানীর বাড়ির পাশে। সেখানে জনি নামের একজনকে মারধর করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কল্পনার লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা এ.এস.আই মিজান ও মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন ভিট পুলিশের এস.আই লিটু গাজি যায়। এর মধ্যে শিপন পাটোয়ারীর লোকজনের সাথে কল্পনার লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে দফায় দফায় ককটেল বিষ্ফোরণ, ভাঙচুর ও গুলি ছোড়া হয়। এ সময় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়।
তারা আরও জানিয়েছেন, মূলত মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন পাটোয়ারী ও সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেত্রী মহসিনা হক কল্পনার সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন ভিট পুলিশের এস.আই লিটু গাজী ও সদর থানার এ.এস.আই মিজান জানিয়েছেন, মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এলাকায় সংঘর্ষের খবর জানতে পারি। সেখানে গিয়ে জনি নামের ছেলেকে কেনো মারা হয়েছে তা জানতে গেলে দুই পক্ষের লোকজন মাঠ ও ক্ষেত থেকে ককটেল ও ছোরা গুলি মারে। তাদের সংঘর্ষ চলে কয়েক ঘন্টা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।